Wednesday, October 15News That Matters

সময়ের আজকের আলোচিত সাত খবর

ডাকে কেয়াবনে ফুল-মঞ্জরি ঘন-দেয়া সম্পাতে, মাটির বুকেতে তমাল তাহার ফুল-বাহুখানি পাতে। তোমাদের সেই ব্রজের ধূলায় প্রেমের বেলাতি হয়, সেথা কেউ তার মূল্য জানে না, এই বড় বিস্ময়। আজো কানে গোঁজ শিরীষ কুসুম কিংশুক-মঞ্জরী, অলকে বাঁধিয়া পাটল ফুলেতে ভরে লও উত্তরী! বিহগ ছাড়িয়া ভোরের ভজন আহারের সন্ধ্যানে, বাতাসে বাঁধিয়া পাখা-সেতু-বাঁধ ছুটিবে সুদুর-পানে। তরুণ কিশোর ছেলে, আমরা আজিকে ভাবিয়া না পাই তুমি হেথা কেন এলে?

কে এলে তবে ভাই, সোনার গোকুল আঁধার করিয়া এই মথুরার ঠাই। তোমাদের প্রেম নিকষিত হেম কামনা নাহিক তায় যুগে যুগে কবি গড়িয়াছে ছবি কত ব্রজের গাঁয়! তুমি যে কিশোর তোমার দেশেতে হিসাব নিকাশ নাই, যে আসে নিকটে তাহারেই লও আপন বলিয়া তাই। তোমাদের প্রেম নিকষিত হেম কামনা নাহিক তায় যুগে যুগে কবি গড়িয়াছে ছবি কত ব্রজের গাঁয়! ডাকে কেয়াবনে ফুল-মঞ্জরি ঘন-দেয়া সম্পাতে, মাটির বুকেতে তমাল তাহার ফুল-বাহুখানি পাতে।

হেথা যৌবন যত কিছু এর খাতায় লিখিয়া লয়, পান হতে চুন খসেনাক-এমনি হিসাবময়। হেথা যৌবন যত কিছু এর খাতায় লিখিয়া লয়, পান হতে চুন খসেনাক-এমনি হিসাবময়। তরুণ কিশোর! তোমার জীবনে সবে এ ভোরের বেলা, ভোরের বাতাস ভোরের কুসুমে জুড়েছে রঙের খেলা। ঘরে ফিরে যাও সোনার কিশোর! এ পাপমথুরাপুরী, তোমার সোনার অঙ্গেতে দেবে বিষবান ছুঁড়ি ছুঁড়ি। হেথা যৌবন মেলিয়া ধরিয়া জমা-খরচের খাতা, লাভ লেকাসান নিতেছে বুঝিয়া খুলিয়া পাতায় পাতা।

এখনো গোপন আঁধারের তলে আলোকের শতদল, মেঘে মেঘে লেগে বরণে বরণে করিতেছে টলমল। তুমিও হয়ত জান না কিশোর, সেই কিশোরীর লাগি, মনে মনে কত দেউল গেঁথেছে কত না রজনী জাগি। সেথায় তোমার কিশোরী বধূটি মাটির প্রদীপ ধরি, তুলসীর মূলে প্রণাম যে আঁকে হয়ত তোমারে স্মরি। বঁধুর কোলেতে বধুয়া ঘুমায়, খোলেনি বাহুর বাঁধ, দীঘির জলেতে নাহিয়া নাহিয়া মেটেনি তারার সাধ। হাসিটি হেথায় বাজারে বিকায় গানের বেসাত করি, হেথাকার লোক সুরের পরাণ ধরে মানে লয় ভরি।

তরুণ কিশোর! তোমার জীবনে সবে এ ভোরের বেলা, ভোরের বাতাস ভোরের কুসুমে জুড়েছে রঙের খেলা। তোমাদের সেই ব্রজের ধূলায় প্রেমের বেলাতি হয়, সেথা কেউ তার মূল্য জানে না, এই বড় বিস্ময়। তোমাদের সেই ব্রজের ধূলায় প্রেমের বেলাতি হয়, সেথা কেউ তার মূল্য জানে না, এই বড় বিস্ময়। তরুণ কিশোর ছেলে, আমরা আজিকে ভাবিয়া না পাই তুমি হেথা কেন এলে? রঙের কুহেলী তলে, তোমার জীবন ঊষার আকাশে শিশু রবি সম জ্বলে।

এখনো আসেনি অলি, মধুর লোভেতে কোমল কুসুম দুপায়েতে দলি দলি। এখনো বসিয়া সেঁউতীর মালা গাঁথিছে ভোরের তারা, ঊষার রঙিন শাড়ীখানি তার বুনান হয়নি সারা। সেথায় তোমার কিশোরী বধূটি মাটির প্রদীপ ধরি, তুলসীর মূলে প্রণাম যে আঁকে হয়ত তোমারে স্মরি। কে এলে তবে ভাই, সোনার গোকুল আঁধার করিয়া এই মথুরার ঠাই। তরুণ কিশোর ছেলে, আমরা আজিকে ভাবিয়া না পাই তুমি হেথা কেন এলে?

তোমাদের প্রেম নিকষিত হেম কামনা নাহিক তায় যুগে যুগে কবি গড়িয়াছে ছবি কত ব্রজের গাঁয়! এখনো পাখিরা উঠেনি জাগিয়া, শিশির রয়েছে ঘুমে, কলঙ্কী চাঁদ পশ্চিমে হেলি কৌমুদী-লতা চুমে। হেথা যৌবন মেলিয়া ধরিয়া জমা-খরচের খাতা, লাভ লেকাসান নিতেছে বুঝিয়া খুলিয়া পাতায় পাতা। সেথায় তোমার কিশোরী বধূটি মাটির প্রদীপ ধরি, তুলসীর মূলে প্রণাম যে আঁকে হয়ত তোমারে স্মরি। ওপারে কিশোর, এপারে যুবক, রাজার দেউল বাড়ি, পাষাণের দেশে কেন এলে ভাই। রাখালের দেশ ছাড়ি?

সেই ব্রজধূলি আজো ত মুছেনি তোমার সোনার গায়, কেন তবে ভাই, চরণ বাড়ালে যৌবন মথুরায়! হয়ত তাহাও জানে না সে মেয়ে জানে না কুসুম-হার, এত যে আদরে গাঁথিছে সে তাহা গলায় দোলাবে কার? তুমি যে কিশোর তোমার দেশেতে হিসাব নিকাশ নাই, যে আসে নিকটে তাহারেই লও আপন বলিয়া তাই। হয়ত তাহা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *